ভালো মানের এবং জনপ্রিয় রিভিউ লেখার কৌশল
পোস্ট বার দেখা হয়েছে
কোন বিষয়ে ভাল রিভিউ লেখার প্রথম শর্ত, সেবিষয়ে অভিজ্ঞতালাভ করুন। কোন বই না পড়ে সে সম্পর্কে রিভিউ লিখতে পারেন না, তেমনি কোন পন্য ব্যবহার না করে শুধুমাত্র কোম্পানীর বক্তব্য শুনে রিভিউ লিখতে পারেন না। লক্ষ করলে দেখবেন অনেকে এধরনের রিভিউকে রিভিউ হিসেবে উল্লেখ না করে কোম্পানীর বক্তব্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনেক সময়ই কোন পন্যের সময় কোম্পানীকে সরাসরি বলতে পারেন নমুনা দেয়ার জন্য। রিভিউ লিখবেন একথা বললে বুদ্ধিমান কোম্পানী নিজে থেকেই সেটা করবেন, আরো উৱসাহ দেয়ার জন্য অর্থও পেতে পারেন।
এফিলিয়েশন ব্যবহার করুন: ধরে নেয়া হচ্ছে আপনি রিভিউ লিখবেন নিজের ব্লগের জন্য। রিভিউ লেখা এবং এফিলিয়েশন, দুটিই ব্লগের জন্য লাভজনক। দুটিকে একসাথে ব্যবহার করলে আয় বেশি হতে পারে।একটা মাত্র বিষয় মনে রাখা জরুরী, আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, যখন রিভিউ লেখার সময় ব্যসায়িক কারনে প্রাধান্য দেবেন না। পাঠকের আগ্রহ বিবেচনা করে সত্য তথ্য প্রকাশ করুন।
সমস্যাকে বুদ্ধির সাথে মোকাবেলা করুন: সমালোচনা করা যায় না এমন পন্য নেই। কোন পন্যের বিশেষ ত্রুটি রয়েছে, কোনটি সম্পর্কে ব্যবহারকারীর
যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে, কোনটির দাম অযৌক্তিক রকম বেশি ইত্যাদি নানাবিধ অভিযোগ থাকতে পারে পন্যের বিরুদ্ধে। অনেক সময়ই এমন পন্যের রিভিউ লেখার প্রয়োজন হতে পারে যা অন্যকে ব্যবহারের পরমর্শ দেয়া যায় না। রীতিমত আবর্জনা।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হচ্ছে বিষয়গুলি উল্লেখ না করা। দক্ষ রিভিউ লেখক বিষয়গুলি এমনভাবে উল্লেখ করেন যেন পাঠক সেটা বোঝেন। অনেক সময় বিষয়টি এমনভাবে উল্লেখ করেন যেন কোন পাঠক সরাসরি সমালোচনা করলেও তারসাথে বিরোধ জন্মে না।
কোম্পানীর স্বার্থ দেখতে গিয়ে সচেতনভাবে পাঠককে বিভ্রান্ত করা, পক্ষান্তরে তাকে ঠকানোর সুযোগ করে দেয়া রিভিউ কখনো পাঠকপ্রিয় হয় না।
রিভিউতে কি থাকা উচিত: যে কোন পন্য বা সেবা রিভিউ বিষয় হতে পারে। কাজেই একটিমাত্র ছক তৈরী করে তাকে সব যায়গায় ব্যবহার করা সম্ভব না। যে বিষয়ের রিভিউ হোক, শুরুতে একটি ছক তৈরী করে নিন সেখানে কি কি বিষয় থাকবে। সেটা এমন হতে পারে।
বর্ননা: পন্যের বিস্তারিত বর্ননা। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটা করা তুলনামুলক সহজ। আপনি নিশ্চয়ই জানেন কোন পন্যের তথ্য প্যাকেটের গায়ে লেখা বাধ্যতামুলক।
ব্যবহারকারীদের তথ্য: পন্যটি কাদের জন্য বেশি উপযোগি এই বিষয়ে সামান্য তথ্যও উপকারে আসে। যারা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক তারা পন্যটিকে আপন মনে করেন।
সুবিধেগুলি কি: পন্যটি সত্যিকারের কি কি সুবিধে দিচ্ছে। ব্যবহারকারী সেটা থেকে কি কি উপকার পেতে পারেন ইত্যাদি।
ব্যবহারিক দিক: পন্যটির দাম কত, কোথায় পাওয়া যায়, কিভাবে কেনা সুবিধেজনক, কেনার পর সেবা কতদিনের ইত্যাদি তথ্য এখানে উল্লেখ করা হয়। এখানে এফিলিয়েশন লিংক ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিকল্প পন্যের উল্লেখ করুন: পন্যটির বর্ননা দেয়ার সময় একই ধরনের অন্য যে পন্যগুলি ব্যবহার করা হতে পারে সেগুলির উল্লেখ করুন। ভাল রিভিউ এর জন্য এটা প্রাথমিক শর্ত। এরফলে পাঠক নিজে যাচাই করার সুবিধে পান।অনেক ক্ষেত্রে এধরনের উল্লেখের কোন ভুমিকা থাকে না। কোন উপন্যাসের রিভিউ লেখার সময় অন্য উপন্যাসের সাথে তুলনা করা যায় না। তারপরও একই ধরনের অন্য উপন্যাসের উল্লেখ থাকলে পাঠক উপকৃত হন।
ভাল এবং মন্দ দিক উল্লেখ করুন: ভাল এবং মন্দ দিক, এধরনের কিছু নাম দিয়ে সংক্ষেপে দুটি বিষয় তুলে ধরুন। অনেকে রিভিউ পড়ার সময় প্রথমেই এই বিষয়গুলি দেখে নেন। আগ্রহি হলে বাকিটুকু পড়েন।সত্যিকারের তথ্য এখানে তুলে ধরনের এটাই বাঞ্ছনিয়। অনেকে চালাকি করে তুলনামুলক কম সমস্যাকে তুলে ধরেন বড় সমস্যাকে আড়াল করার জন্য। সচেতনভাবে সেটা করবেন না। যে সমস্যার কথা জানেন সেটা প্রকাশ করুন।
অন্যের মত নিন: রিভিউ লেখার পর সহজে পাঠকের মতামত দেয়ার ব্যবস্থা রাখুন। আমাজন এর মত সাইটের দিকে লক্ষ করলে দেখবেন প্রতিটি পন্যের সাথে ব্যবহারকারীর
অভিজ্ঞতার বর্ননা রয়েছে। কেউ খুশি হয়েছেন, কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সবগুলিই গুরুত্ব সহকারে রাখা হয়েছে। অনেকে এধরনের ইউজার রিভিউ এরজন্য টাকা দেন।ভাল এবং মন্দ দুধরনের মতামত পাওয়ার জন্য চেষ্টা করুন। পাঠককে মত জানাতে উতসাহ দিন।
নিজের চুরান্ত মত জানা: রিভিউ এর শেষে এককথায় বলতে পারেন আপনার সিদ্ধান্ত কি। কোন পন্য কেনার পক্থপাতি, কোন পন্যের উন্নত সংস্করনের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি, কোনটির দাম কম হলে ভাল হত ইত্যাদি।আপনি নিজেই সেই পন্যের ক্রেতা বা ব্যবহারকারী হিসেবে যা মনে আসে সেকথাই স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন।
এর বাইরে আরো বিষয় থাকতে পারে। আপনি নিজেই কোন পদ্ধতি বের করতে পারেন। পাঠকদের জন্য আপনার কোন পরামর্শ জানাতে পারেন মন্তব্য লিখে।