সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজে সবচেয়ে শীর্ষ 5 ভুল
পোস্ট বার দেখা হয়েছে
মানুষ ভুল থেকে শেখে।
ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে এইকথা সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। প্রতিপদে সমস্যায় পড়ে তাদেরকে
শিখতে হয়। প্রত্যেকেরই রয়েছে নিজস্ব নানা রকম অভিজ্ঞতা। নিজে ঠকার
আগে অন্যের অবস্থা থেকে কি শেখা যায় না।
কোন কাজগুলি সবচেয়ে বড়
সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে জেনে নিন। হয়ত আগে থেকেই সাবধানে থাকতে পারেন।
কম টাকা: প্রত্যেক
ফ্রিল্যান্সারই মনে করেন তাকে হয়ত কম টাকা দেয়া হচ্ছে। তারপরও কম টাকায় কাজ করতে
হয়। যখন ঘন্টা হিসেবে কাজ করা হয় তখন বিষয়টি আরো জটিল হয়ে দাড়ায়। আপনি ৪ ঘন্টা কাজ
করলে ঘন্টা হিসেবে ৪ ঘন্টার টাকা পাবেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এক জন অভিজ্ঞ
ব্যক্তি সেই কাজ করতে পারে আধ ঘন্টায়। তিনি কত টাকার বিল করবেন? তিনি আধ ঘন্টা কাজ করেছেন সেটা ঠিক, কিন্তু তার যে অভিজ্ঞতা সেটা অর্জন করতে বহু বছর ব্যয় করতে
হয়েছে। তার মুল্য কোথায় ?
যদি সত্যিকারের মুল্য
হিসেব করতে হয় তাহলে সময়, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা সবকিছু
মিলিয়ে মুল্য হিসেব করুন।
অতি-ততপরতা: আপনি একজন ক্লায়েন্টের কাজ করবেন,
তাকে খুশি করার জন্য যত দ্রুত সম্ভব করে দেবেন।
সেটা অবশ্যই ঠিক, কিন্তু আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার।
এর অর্থই হচ্ছে আপনি এর বাইরেও অন্য কিছু কাজে সময় ব্যয় করেন। কি হবে যদি অন্য
কাজের কারনে সেই সময়ে কাজটি করে দিতে না পারেন ? অসংখ্য কারন ঘটতে পারে যেখানে আপনি যে হিসেব করেছেন সেই
হিসেবে গড়মিল হতে পারে।
যে সময়ে কাজ করা সম্ভব
তার থেকে বেশি সময় হাতে রেখে বিষয়টি সামাল দিতে পারেন।
মুল্যায়ন: ফ্রিল্যান্সার
হিসেবে আপনি আপনার দক্ষতা বিক্রি করবেন। আপনি ভাল কাজ জানেন, অন্যের কাজ ভালোভাবে করে দিতে পারেন
কিন্তু তারা আপনার মুল্যায়ন করতে পারছেন না। নিশ্চয়ই কোথাও গড়মিল রয়েছে। আপনি
বুঝাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা কি চায়। অন্যে যেভাবে চায় সেভাবে চিন্তা করুন। এমন ভাবে প্রস্তাব
দিন যেন তারা তাদের উপকার মনে করে। মনোযোগ দিয়ে শুনুন, নিজে কথা কম বলুন।
সবসময় হ্যা বলা: হ্যা না বললে কাজ হাতছাড়া
হবে সেকারনে হ্যা বলতে হবে, এটা বড় ধরনের
সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ক্লায়েন্ট যে কাজ করাতে চান তিনি সে বিষয়ে যথেষ্ট জানবেন
এমন কথা নেই। তিনি ভুল বললেও যদি খুশি করার জন্য হ্যা বলে যান তাতে তিনি সন্তুষ্ট
নাও হতে পারেন। তার সব কথার সাথে একমত না হয়েও তারসাথে ভাল বন্ধুত্বের সম্পর্ক
রাখতে পারেন।
যোগাযোগ না রাখাঃ আপনার কাজে কেউ খুবই খুশী
হয়েছে। কাজ নেই বলে তারসাথে কোন সম্পর্ক না রাখা একটি ভুল। তার কাজ না থাকলেও
অন্যের কাজের জন্য আপনার কথা উল্লেখ করতে পারেন তিনি। আপনার কাজে যিনি সন্তুষ্ট
তিনি আপনার পক্ষেই মত দেবেন। কাজ থাকুক বা না থাকুক, ক্লায়েন্টের সাথে সবসময় সম্পর্ক রাখতে চেষ্টা করবেন।