টরেন্ট সম্পর্কে জেনে আসি আপনার জানা না থাকলে
পোস্ট বার দেখা হয়েছে
পাইরেসি অবৈধ। আপনি
ইন্টারনেট থেকে পাইরেটেড সফটঅয়্যার, গেম, মিউজিক বা ভিডিও ডাউনলোড
করে ব্যবহার করলে আপনাকে শাস্তি দিতে পারে আইন। জরিমানা, জেল সবই হতে পারে। কিন্তু তাই বলে কি সেটা করা হচ্ছে না!
পাইরেসি যতদিন চালু আছে ততদিন মানুষ ব্যবহার করবে। আপনাকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে না,
সম্ভব হলে কিনে ব্যবহার করুন। যদি নিতান্তই
সম্ভব না হয় তাহলে করলে আপনি একা অপরাধী নন।
ইন্টারনেটে পাইরেটেড
সফটঅয়্যারের সবচেয়ে বড় যায়গা বিট টরেন্ট। কিভাবে বিট টরেন্ট থেকে ডাউনলোড করা হয়
জেনে রাখতে পারেন।
বিট টরেন্ট
পিয়ার-টু-পিয়ার সংক্ষেপে পিটুপি নামের একধরনের বিশেষ নেটওয়ার্কে কাজ করে। কেউ তার
কম্পিউটার থেকে কোন সফটঅয়্যার আপলোড করলেন, এর অর্থ এই না যে তিনি সার্ভারে রাখলেন। সেটা থাকল তার
নিজের কম্পিউটারেই। বিটরেন্ট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেখান থেকে নিজের
কম্পিউটারে নিতে পারেন। ১০ জন ডাউনলোড করার পর অন্যরা ১০ জনের কম্পিউটার থেকেই
একসাথে ডাউনলোডের সুযোগ পাবেন। এজন্য একে বলা হয় ফাইল শেয়ারিং। ব্যবহারকারী যত
বেশি তত দ্রুত ডাউনলোড হয়। এমনকি ডাউনলোড শেষ হওয়ার জন্যও অপেক্ষা করতে হয় না,
আপনার কম্পিউটারে যতটুকু ডাউনলোড হয়েছে সেটা
আরেকজন পাবেন, আরেকজনের কম্পিউটারে
যতটুকু রয়েছে সেটা আপনি পাবেন। সেকারনে সবসময়ই বলা হয়, শেয়ারের মানষিকতা দেখান। ডাউনলোড করে সাথেসাথে লিষ্ট থেকে
সেটা মুছে দেবেন না। অন্যকে ডাউনলোডের সুযোগ দিন।
বিটটরেন্ট থেকে ডাউনলোডের
জন্য বিটরেন্ট ক্লায়েন্ট নামে একধরনের সফটঅয়্যার প্রয়োজন হয়। মিউ-টরেন্ট
(ইউটরেন্ট), বিটলর্ড ইত্যাদি নামের
বিভিন্ন সফটঅয়্যার রয়েছে। আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে।
তাদের সাইট থেকে
বিটটরেন্ট ক্লায়েন্ট সফটঅয়্যার ডাউনলোড করা । যেমন www.utorrent.com .
. সেটা ইনষ্টল করা।
. বিট টরেন্ট সাইটে গিয়ে যা ডাউনলোড করবেন সেটা খুজে বের করা
. ডাউনলোড কমান্ড দেয়া।
সফটঅয়্যার নিজে থেকেই
বিভিন্ন কম্পিউটার থেকে ডাউনলোড শুরু করবে। ইন্টারনেট বন্ধ করলে, কম্পিউটার বন্ধ করলেও সমস্যা নেই। যখনই কম্পিউটার চালু করে
সফটঅয়্যারটি চালু করবেন আবারও বাকি অংশ ডাউনলোড হতে থাকবে। একে নানাভাবে কনফিগার
করে নিজের পছন্দমত করে নেয়া যায়।
জনপ্রিয় বিটটরেন্ট সাইটের
মধ্যে রয়েছে পাইরেট বে, ফেনোপি, আইএসওহান্ট, টরেন্ট টু ক্রেজি,
টরেন্ট ডাউনলোডস ইত্যাদি।