ভাবছেন ব্লগিং করবেন তাহলে ব্লগের কিছু গুরুত্বপুর্ন বিষয় সম্পর্কে জেনে নেন।
পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ফ্রিল্যান্সিং কাজে সহায়তা
করার জন্য ব্লগ গুরুত্বপুর্ন একথা কমবেশি সব ফ্রিল্যান্সারই জানেন। কিন্তু ঠিক
কিভাবে ব্লগ থেকে উপকার পাওয়া যায় সেটা সম্পর্কে হয়ত সকলেই সচেতন নন।
একদিকে ফ্রিল্যান্সিং ব্লগ
ব্যবসায়িক ব্লগ, তারপরও এটা ব্যবসা
প্রতিস্ঠানের ব্লগ থেকে আলাদা। আবার বানিজ্যিক ব্লগ থেকেও আলাদা।
ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজের
ব্লগ পরিচালনার জন্য একদিকে আপনি ওয়েব ডিজাইনার বা প্রোগ্রামার নিয়োগ করতে পারেন
না। কাজটি নিজেকেই করতে হয়। অন্যদিকে একে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে ধরে নিতে পারেন
না।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ব্লগকে
ফ্রিল্যান্সিং কাজে লাগানো যায় সে সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে এখানে
ব্লগে কি
থাকা প্রয়োজনঃ সাধারনভাবে
ব্লগিং এর জন্য যে নিয়মগুলি মানতে হয় তার অনেকগুলিই ফ্রিল্যান্সারের উপকারে আসে
না। কাজেই সরলভাবে অন্য ব্লগের অনুসরন করে ভাল ফল পাওয়া সম্ভব হবে এটা ধরে না
নেয়াই ভাল। ফ্রিল্যান্সিং ব্লগে যে বিষয়গুলি গুরুত্বপুর্ন হতে পারে.
নিয়মিত আপডেট করাঃ ফ্রিল্যান্সার
নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবেন, ফলে অন্য
ব্লগারের মত যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। সেকারনে অনেকেই নিশ্চিত হতে
পারেন না, কতটা বিরতি দিয়ে ব্লগ আপডেট করবেন। সাধারনভাবে
মাসে অন্তত একটি পোষ্ট দেবেন। বিশেষজ্ঞরা একে যথেষ্ট মনে করেন। তবে আরো বেশি দিলে
উপকার ছাড়া ক্ষতি নেই।
নিজের পরিচিতি তুলে ধরাঃ ফ্রিল্যান্সিং
ব্লগের মুল উদ্দেশ্য নিজেকে প্রকাশ করা। ব্লগে About Page নামে যে পেজ রাখবেন সেখানে নিজের
পরিচিতি এমনভাবে তুলে ধরবেন যেন সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট আপনার সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা
পান।
যোগাযোগের সুযোগ রাখাঃ অনেক
ফ্রিল্যান্সারই যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখার ওপর খুব গুরুত্ব দেন না। যদি যোগাযোগ আশা
না করেন সেটা ভিন্ন কথা, কিন্তু
ব্লগ যদি ক্লায়েন্ট পাওয়ার উদ্দেশ্যে হয় তাহলে অবশ্যই সম্ভাব্য সব ধরনের যোগাযোগের
তথ্য রাখা প্রয়োজন। ইমেইল, টেলিফোন থেকে শুরু করে সমস্ত
কিছুই।
নতুন কাজের নমুনাঃ ব্লগ তৈরীর
সময় নিজের করা যে কাজগুলি রেখেছেন তারসাথে নতুন করা কাজগুলি যোগ করা গুরুত্বপুর্ন।
আপনি যত বেশি কাজ করবেন দক্ষতা তত বাড়বে, ফলে পরের কাজগুলি আগের কাজ থেকে উন্নত হবে এটাই স্বাভাবিক। ক্লায়েন্ট
এথেকে ধারনা পেতে পারেন তিনি আপনার কাছে কোন মানের কাজ পেতে পারেন।
ব্লগ দ্রুত কাজ করাঃ অন্যন্য
সকল ওয়েবসাইটের মত এই নিয়ম এখানেও কার্যকর। সাইটে এমনকিছু রাখবেন না যার কারনে
ধীরগতিতে কাজ করে। বিশেষ করে ল্যান্ডিং পেজে কম সংখ্যক ইমেজ-ভিডিও ইত্যাদি রাখুন।
পপ-আপ জাতিয় কিছু না রাখাঃ অনেকেই
ব্লগে বা ওয়েবসাইটে পপ-আপ মেনু রাখতে পছন্দ করেন। ধরে নেয়া হয় ভিজিটর সেটা দেখে
মুগ্ধ হবেন। বাস্তবতা হচ্ছে অধিকাংশ ভিজিটর এতে সবচেয়ে বেশি বিরক্ত হন।
উচু মানের তথ্য:ভিজিটর কোন সাইট তখনই নিয়মিত ব্যবহার করেন যখন সেখানে
প্রয়োজনীয় তথ্য পান। আপনার দায়িত্ব সেখানে উপকারি তথ্য দেয়া। ভিজিটরকে বোকা ভাববেন
না, ফাকি দিতে চেষ্টা করবেন না। তারা ভাল-মন্দ বোঝে।
ভিজিটরের সাথে যোগাযোগের
ব্যবস্থা রাখা: ভিজিটর বিভিন্ন বিষয়ে
নিজের মত জানাতে পারেন, প্রশ্ন করতে পারেন। ব্লগারের
দায়িত্ব সেগুলিকে গুরুত্ব দেয়া। এরফলে একসময় ভিজিটর নিজেও ব্লগকে নিজের মনে করেন।
আপনি কাজ পেতে আগ্রহি সেটা
প্রকাশ করা:ফ্রিল্যান্সিং ব্লগের
মুল উদ্দেশ্য যদি হয় ক্লায়েন্ট পাওয়া তাহলে আপনাকে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করতে হবে
আপনি কোন ধরনের কাজ পেতে আগ্রহি। এটা দেখেই একজন আপনার সাথে কাজের জন্য যোগাযোগ
করবেন।
এই বিষয়গুলি গুরুত্বপুর্ন, তবে একেই সমস্ত কিছু বলে ধরে নেবেন না। এর বাইরে আরো বহু
বিষয় রয়েছে যা যে কোন ব্লগের জন্যই গুরুত্বপুর্ন। এছাড়া ব্লগের ভিজিটর বাড়ানোর
নানাধরনের পদ্ধতি তো রয়েছেই।