আপনি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক জানতে চান, আসুন কিছু জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে।
পোস্ট বার দেখা হয়েছে
ফ্রিল্যান্সার জানতে
চান কি ? কি কাজ করা যায় ? কোথায় কাজ পাওয়া যায় ? কিভাবে যোগাযোগ করতে হয়
? ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।
বাস্তবে এই
প্রশ্নগুলির উত্তর জেনে ফ্রিল্যান্সিং কাজে ভাল করার উদাহরন পাওয়া কঠিন। অন্তত
সরলভাবে বলা যায়, এই
প্রশ্নগুলির জন্য কারো কাছে যাওয়া প্রয়োজন নেই। ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক কোন শব্দ লিখে
সার্চ করে তাদের কাছে যাওয়া যায়, সেখানে তাদের সমস্ত নিয়ম
জানা যায়। বরং এই বিষয়গুলি
জানার পর বাস্তব কাজের সময় কিছূ প্রশ্ন এসে হাজির হয়। এগুলির উত্তর তত সহজে পাওয়া
যায় না। অথচ এগুলি না জেনে কাজ করা সম্ভব হয় না।
এধরনের কিছু বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
কাজের
জন্য কত নেয়া যায় : ফ্রিল্যান্সারের
কাছে অত্যন্ত জটিল একটি প্রশ্ন। যে কাজ করতে চান সেই কাজের জন্য কত চাইবেন। বেশি
চাইলে কাজ পাবেন না, একেবারে কম চাইলে প্রথমত আপনার দক্ষতা
নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, আবার কাজ পেলেও যে আয় হবে সেটা
পরিশ্রমের তুলনায় কম হতে পারে।কোন কাজের জন্য কত পারিশ্রমিক চাইবেন সেটা আগেই বিশ্লেষন করে
নিন। স্বাভাবিকভাবে শুরুতে কম টাকায় কাজের চেষ্টা করা ভাল। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার
সাথে মিল রেখে এই পরিমান বাড়ানোর যেতে পারে।
প্রথম কাজ কিভাবে
পাওয়া যাবে : বলা হয় প্রথম
কাজ পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কিভাবে কাজের চেষ্টা করতে হয় থেকে শুরু করে কিভাবে যোগাযোগ
করতে হয় ইত্যাদি কোনকিছুই যখন জানা নেই।ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নিয়মগুলি ভালভাবে পড়ে,
অন্যদের কাজ দেখে যত বেশি সম্ভব ধারনা পেতে চেষ্টা করুন। সম্ভব
হলে পরিচিত কোন ফ্রিল্যান্সারের সাহায্য নিন।
ক্লায়েন্ট সন্তুষ্ট
না হলে কি করবেন : অনেকে
শুরুতেই ভয় পান, তার কাজে ক্লায়েন্ট অসন্তুষ্ট হতে পারেন।
জেনে রাখা ভাল, আপনি কতটা দক্ষ, অভিজ্ঞ,
কাজে কত নিয়মানুবর্তি তাতে কিছু যায় আসে না, কোন কোন ক্লায়েন্ট অনস্তুষ্ট হবেনই। এটা স্বাভাবিক ধরে নিয়ে কাজ করাই
ভাল। সাধারন নিয়ম, ক্লায়েন্টের সাথে কখনও তর্ক করবেন না।
অপছন্দ হলে অন্য ক্লায়েন্ট খোজ করুন।
ফ্রিল্যান্সারের কি
ওয়েবসাইট প্রয়োজন : এককথায়
উত্তর, হ্যা। এর মাধ্যমে যোগাযোগের পথ তৈরী হয় এবং সহজে
কাজ পাওয়া যায়।
ফ্রিল্যান্সিং কাজের
খরচ কত : এক হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কাজে কোন
খরচ নেই। যদি ব্যবহারযোগ্য কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি
থাকে। অন্য কথায়, কাজের সাথে মানানসই যন্ত্রপাতি, ইন্টারনেট-বিদ্যুত সহ নিজের সময়, ব্যয়
সবকিছুকেই খরচ হিসেবে ধরতে পারেন। এই খরচের
হিসেব একেকজনের কাছে একেকরকম। নির্দিষ্টভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য কত খরচ
হচ্ছে এধরনের হিসেব রাখা ভাল।
কাজ এবং সময়ের মিল
কিভাবে রাখা যায় : কাজের
সাথে সময়ের মিল রাখা ফ্রিল্যান্সারের একটি বড় সমস্যা। কোন একটি কাজে যদি অতিরিক্ত
সময় ব্যয় করতে হয় তার প্রভাব অন্য কাজের ওপর পড়ে।
সাধারন নিয়ম, প্রতিটি কাজের সময়ের হিসেব রাখুন। কোন কাজে হিসেবের অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে শতর্ক হোন। প্রয়োজনে সেই ক্লায়েন্টের কাছে অতিরিক্ত সময় চেয়ে নিন। এক কাজের কারনে অন্য কাজের ক্ষতি করবেন না।