আমাজন এফিলিয়েশন থেকে আয়ের পরিমান বাড়ানোর জন্য কি করতে হবে ?
পোস্ট বার দেখা হয়েছে
এফিলিয়েশন থেকে অনেক টাকা আয় করা যায় একথা শুনে যারা কাজ শুরু করেন তাদের
প্রধান অভিযোগ, বাস্তবে এভাবে বেশি আয় হচ্ছে না।
বাংলাদেশের জন্য একথা বিশেষভাবে সত্য। কারন অনলাইনে কেনাকাটার নানারকম
সীমাবদ্ধতা। বর্তমানে সীমিতভাবে হলেও অনলাইনে কেনার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কোন ব্যক্তি
মাসে ১০০ ডলার পর্যন্ত অনলাইনে কিনতে পারেন। ক্রমেই এই ব্যবস্থা আরো জনপ্রিয় হবে এবং
কেনাকাটার বিষয় আরো সহজ হবে সেটা ধরে নেয়া যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। সত্যিকারের উল্লেখযোগ্য আয়
পাওয়ার জন্য অনেকদিন চেষ্টা করে যেতে হয়। সেকারনে বর্তমানে খুব লাভজনক না হলেও ভবিষ্যতের
কথা ভেবে এখনই শুরু করা যেতে পারে।
যে নিয়মগুলি মেনে অন্যরা আমাজন থেকে ভাল ফল পেয়েছেন সেগুলি এখানে তুলে
ধরা হচ্ছে;
ভিজিটর বাড়ানো: আমাজন, অন্য এফিলিয়েশন অথবা ব্লগ থেকে যে কোন পদ্ধতিতেই আয়ের কথা ভাবুন না কেন, প্রধান
কাজ ভিজিটর বাড়ানো। ভিজিটর যত বেশি আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি।
নিজেকে একজন ক্রেতা হিসেবে বিবেচনা করুন। আপনি একেবারে নতুন কোন সাইট থেকে কিছু কিনবেন না। এমন সাইট থেকে কিনবেন যে সাইট আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন, যাকে বিশ্বাস করেন। শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্লগের প্রচার বাড়িয়ে এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
নিজেকে একজন ক্রেতা হিসেবে বিবেচনা করুন। আপনি একেবারে নতুন কোন সাইট থেকে কিছু কিনবেন না। এমন সাইট থেকে কিনবেন যে সাইট আপনি নিয়মিত ব্যবহার করেন, যাকে বিশ্বাস করেন। শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্লগের প্রচার বাড়িয়ে এই সুবিধা পাওয়া যায় না।
ভিজিটরকে গুরুত্ব দেয়া: আপনার কাছে হয়ত অর্থ উপার্জন মুখ্য, ভিজিটরের কাছে আপনার ব্লগ মুখ্য। আপনার ব্লগ থেকে
সহজে কেনা যায় এমন কথা ভেবে কেউ কিনবেন না।
সরলভাবে, ভিজিটর যেন আপনার ব্লগ পছন্দ করেন এভাবে ব্লগ সাজান। বিক্রিকে মুখ্য করে তুলে ধরবেন না।
সরলভাবে, ভিজিটর যেন আপনার ব্লগ পছন্দ করেন এভাবে ব্লগ সাজান। বিক্রিকে মুখ্য করে তুলে ধরবেন না।
পন্যের ধরন: আপনার ব্লগ যে বিষয়ের তারসাথে মানানসই পন্য বিক্রির চেষ্টা করুন। আপনার ফটোগ্রাফি বিষয়ে
ব্লগ হলে যিনি ফটোগ্রাফি বিষয়ে আগ্রহি তাকে ভিজিটর হিসেবে পাবেন এবং তিনি ফটোগ্রাফি
বিষয়ক কিছু কিনতে আগ্রহি হবেন।
প্রচারের ব্যবস্থা নিজে করা: যারা অনলাইনে কিছু কিনবেন তারা আমাজন সম্পর্কে জানেন। তারা ক্রমাগত প্রচারের ব্যবস্থা
করছে। আপনার চেষ্টা তাকেও ছাড়িয়ে যাওয়া কর্তব্য। ক্রেতাকে জানানো প্রয়োজন আপনার মাধ্যমে
কেনা এবং আমাজন থেকে সরাসরি কেনার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, বরং আপনি অতিরিক্ত কিছু
সেবা দিতে পারেন।
পন্যের পরিচিতি তুলে ধরা: কোন পন্য বিক্রির চেষ্টা করার সময় খুব সহজেই সে সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরতে পারেন। এই
মুহুর্তে সেরা ১০ পন্য, এধরনের তালিকা প্রকাশ করে তারসাথে মানানসই পন্য রেখে সহজে ক্রেতা
আকর্ষন করা যায়।পন্যের রিভিউ প্রকাশ করেও তার ভালমন্দ তুলে ধরা যায়। অনেক ক্রেতাই রিভিউ পড়ে পন্য কিনতে
আগ্রহি হন।
পন্যের সত্যিকারের তথ্য তুলে ধরা: বিক্রি করার উদ্দেশ্যে কোন পন্য সম্পর্কে অতিরিক্ত প্রশংসা করা ক্ষতিকর। সত্যিকারের
ভাল দিকগুলির সাথে কোন সমস্যার দিক থাকলে সেটা সেভাবে তুলে ধরুন।
আরো তথ্যের ব্যবস্থা করুন: কোন পন্যের পরিচিতি তুলে ধরার সময় সে সম্পর্কে আরো জানার জন্য কোন লিংক থাকলে সেটা
প্রকাশ করুন। যেমন কোন সফটঅয়্যার বিক্রির চেষ্টা করলে সেই সফটঅয়্যার নির্মাতার ওয়েবসাইটের
লিংক বা টিউটোরিয়ালের লিংক দিয়ে দিন।
মুল্যহ্রাসের সুযোগ নিন: আমাজন সবসময়ই মুল্যহ্রাসে সবধরনের পন্য বিক্রি করে। এদের দিকে লক্ষ্য রাখুন এবং সেগুলি
বিক্রির তালিকায় রাখুন।
একাধিক লিংক ব্যবহার: বিশেষ কোন পন্য বিক্রির জন্য সেই পন্যের একটি লিংক রাখার বদলে একই ধরনের একাধিক পন্যের
লিংক রেখে ভাল ফল পাওয়া যায়। অনেকেই নির্দিষ্ট একটি পন্য সরাসরি কেনার বদলে একই ধরনের
অন্য পন্য যাচাই করতে পছন্দ করেন।
ছবি ব্যবহার করুন: কোন পন্যের পরিচিতি তুলে ধরার সময় তার ছবি দেখার সুযোগ রাখুন। এজন্য আমাজনের ছবির লিংক
ব্যবহার করাই যথেষ্ট।
বিক্রির সময়ের দিকে লক্ষ রাখুন: বিশেষ দিনে বিশেষ ধরনের পন্য বেশি বিক্রি হয়। এদের দিকে লক্ষ রাখুন এবং তারসাথে মানানসই
পন্য বিক্রির চেষ্টা করুন। অনলাইনে বিক্রির জন্য ডিসেম্বর (বড়দিন) সবচেয়ে ভাল সময়।
প্রি-অর্ডারের ব্যবস্থা রাখুন: অনেক পন্য বাজারে আসার আগেই বিক্রি করা যায়। সাধারনত অত্যন্ত জনপ্রিয় কিছু এভাবে বিক্রি
করা হয়।
এই নিয়মগুলি ঠিক এভাবেই ব্যবহার করতে হবে এমন কথা নেই, বরং এরসাথে নিজস্ব
নিয়ম যোগ করে ক্রমেই ভাল করতে পারেন। একজন বিক্রেতার মুল যোগ্যতা ক্রেতাকে কিনতে আগ্রহি
করে তোলা। এফিলিয়েশন ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
এরপরও আরেক কথার পুনরাবৃত্তি হতে পারে, এতকিছুর পরও তেমন লাভ হচ্ছে না ?
সেক্ষেত্রে আমাজন নিজেই সবচেয়ে বড় উদাহরন হতে পারে। ব্যবসা শুরু পর তারা
কয়েক বছর ক্রমাগত ক্ষতি স্বিকার করে ব্যবসা করে গেছে। তাদের বক্তব্য ছিল, ৫ বছর ক্ষতি
মেনে ব্যবসা করব, এরপর লাভ করব। তারা কি করতে পেরেছে সেটা সকলেরই জানা।